স্ত্রীর তালাকে স্বজনদের কাছে মাফ চেয়ে ফাঁসিতে ঝুলল স্বামী

ডেস্ক রিপোর্ট ◑ বিয়ের পর জীবিকার তাগিদে বাড়িতে স্ত্রীকে রেখে ওমানে পাড়ি জমান স্বামী শাহীন খান। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় কলহ। সেই কলহ গড়ায় তালাকে। এক পর্যায়ে দেশে থেকে শাহীনকে তালাক দেন স্ত্রী কাকলী আক্তার। এতে ফেসবুকে স্ট্যাটাসে স্বজনদের কাছে মাফ চেয়ে ফাঁস দিলেন প্রবাসী স্বামী শাহীন।

শনিবার বিকেলে ওমানে তার নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। শাহীন খান ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সদর ইউপির এম কে ডাঙ্গী গ্রামের হযরত খানের ছেলে।

শাহীনের পরিবার জানায়, ওমানে যাওয়ার আগে কাকলী আক্তারকে বিয়ে করেন শাহীন। বিয়ের পর স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে ওমান গিয়ে কয়েক বছর অতিবাহিত হয়। এতে দুই জনের সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। শুরু হয় পারিবারিক কলহ। এর জের ধরে দুই দিন আগে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে প্রবাসী শাহীনকে তালাক দেন স্ত্রী কাকলী। এ খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দেন শাহীন।

মৃত্যুর আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন শাহীন খান।

এদিকে ওমানে নূর ইসলাম মন্ডল নামের আরেক যুবক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। শনিবার একটি মার্কেট থেকে বাসায় ফেরার পথে তার মৃত্যু হয়। নূর ইসলাম ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউপির বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে।

মৃতের পরিবার জানায়, তিন বছর যাবত নূর ইসলাম ওমানে রয়েছেন। সম্প্রতি তার শ্যালকের বিয়ের আয়োজন করা হয়। সেই বিয়েতে অংশগ্রহণ করতে দেশে আসার কথা ছিল তার। এজন্য মার্কেট থেকে কেনাকাটা শেষে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। তবে পথিমধ্যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান নূর ইসলাম।

চরভদ্রাসন সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান জানান, শাহীন খান পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের নূর ইসলাম মন্ডল হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। দুজনই ওমান প্রবাসী। তাদের মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।